ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত রোগ যা প্রধানত এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। ডেঙ্গুর অন্যতম গুরুতর লক্ষণ হলো প্লাটিলেট কমে যাওয়া, যা রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ডেঙ্গু হলে প্লাটিলেট কমে গেলে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা ডেঙ্গুর কারণে প্লাটিলেট কমে গেলে কী কী করণীয় তা জানবো।
প্লাটিলেট কমে গেলে করণীয়
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
ডেঙ্গু হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শারীরিক পরিশ্রম না করে বিশ্রামে থাকা প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত পানি পান
ডেঙ্গু রোগীদের ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখলে প্লাটিলেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
ডেঙ্গু হলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, পেঁপে পাতা, কাঁচা পেঁপে, গাজর, বিট, ড্রাগন ফল, কিউই, এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়ক।
রক্ত পরীক্ষা করা
ডেঙ্গু হলে নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। প্লাটিলেটের মাত্রা মনিটরিং করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়
মশা নিয়ন্ত্রণ
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাড়ির আশেপাশে পানি জমতে না দেওয়া, মশার নিধন ঔষধ ব্যবহার করা, এবং মশারি ব্যবহার করা উচিত।
স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি
ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। জনগণকে ডেঙ্গুর লক্ষণ, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, এবং করণীয় সম্পর্কে সচেতন করা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
প্লাটিলেট বৃদ্ধির প্রাকৃতিক উপায়
পেঁপে পাতা
পেঁপে পাতার রস প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়ক। পেঁপে পাতার রস দিনে দুইবার খেলে প্লাটিলেটের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
গাজর ও বিট
গাজর ও বিট প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়ক। এগুলো রক্তের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ড্রাগন ফল ও কিউই
ড্রাগন ফল ও কিউই ফল প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সহায়ক। এগুলো ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ডেঙ্গুর কারণে প্লাটিলেট কমে গেলে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টিকর খাবার, এবং পর্যাপ্ত পানি পান ডেঙ্গুর ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে প্লাটিলেটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।