কোন কোন খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে ?

ক্যান্সার একটি মারাত্মক রোগ যা আমাদের খাদ্যাভ্যাসের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত হতে পারে। কিছু খাবার নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এখানে এমন কিছু খাবার উল্লেখ করা হলো যা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে।


প্রক্রিয়াজাত মাংস


প্রক্রিয়াজাত মাংস, যেমন সসেজ, হট ডগ, এবং বেকন, নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রক্রিয়াজাত মাংসে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইটসের মত রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী হতে পারে। 


রেড মিট


গরুর মাংস, খাসির মাংস, এবং শূকরের মাংস প্রায়ই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। রেড মিটের উচ্চ মাত্রার স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং হিম আয়রন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।


উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য


উচ্চ ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, যেমন সম্পূর্ণ দুধ, চিজ, এবং মাখন, বেশি খেলে প্রস্টেট এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 


উচ্চ চিনি যুক্ত খাবার


উচ্চ চিনি যুক্ত খাবার, যেমন ক্যান্ডি, কুকিজ, এবং কোমল পানীয়, শরীরের ওজন বাড়ায় এবং ওজন বৃদ্ধি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। উচ্চ চিনি গ্রহণ ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ায়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।


ভাজা এবং গ্রিল করা খাবার


ভাজা এবং গ্রিল করা খাবারে উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করার ফলে অ্যাক্রিলামাইড নামক ক্ষতিকর রাসায়নিক উৎপন্ন হয়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে আলু ভাজা এবং গ্রিল করা মাংস ক্যান্সারের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।


কৃত্রিম মিষ্টিকারক


কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যেমন এসপারটেম এবং স্যাকরিন, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যদিও গবেষণা এখনও চলছে, তবু কিছু গবেষণায় এদের ক্যান্সারের সাথে সংযোগ পাওয়া গেছে।


অ্যালকোহল


অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশেষ করে মুখ, গলা, খাদ্যনালী, লিভার এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। অ্যালকোহল শরীরের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।


ক্যান্সার প্রতিরোধে করণীয়


ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণ করা জরুরি। কিছু করণীয়:

- শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়া: তাজা শাকসবজি ও ফলমূল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

- ফাইবারযুক্ত খাবার: ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন গোটা শস্য এবং বাদাম, খাদ্যনালীর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

- ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা।

- শরীরচর্চা: নিয়মিত শরীরচর্চা করা।


সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গ্রহণের মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।